মুসলিম হিসেবে প্রত্যেক রোজাদার সতর্ক। যেন কোন কারণে তার রোজা নষ্ট না হয়। কে চায় সারাদিনের কষ্টটা ভেস্তে যাক? তাই রমজান মাসে প্রত্যেকেই যার যার মত করে নিজকে গুটিয়ে ফেলে অন্যায় অপরাধ থেকে। সমাজে আমরা এর বাস্তবতাও দেখি। বেনামাজির মাথায় টুপি। ঘরে ঘরে কুরআনের আওয়াজ। এরপরও অনেক সময় পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। দেখা যায়, ব্যক্তিগতভাবে সে অপরাধে আগ্রহী নয়, কিন্তু পরিস্থিতি তাকে অপরাধ করতে বাধ্য করছে। এমন অবস্থায় একজন রোজাদার কিভাবে তার রোজার সংরক্ষণ করবে? কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে নিজকে? আর নিজের মহামূল্যবান আমলকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করবে।
এ হাদিসে নবিজি উম্মতকে সতর্ক করছেন। সাথে সাথে রোজা সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে হাদিসে বর্ণিত ‘আমি রোজাদার’ কথাটি বলার পদ্ধতি কেমন হবে, এ ব্যাপারে দুইটি মত পাওয়া যায়। এক মতে, রোজাদার ব্যক্তি গালিদাতাকে উদ্দেশ্য করে মুখে উচ্চারণ করে বলবে; ভাই আমি রোজাদার। অন্যমতে, রোজাদার নিজকে সম্বোধন করে মনে মনে বলবে, আমি রোজাদার। এবং নিজকে ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত রাখবে। (উক্ত হাদিসের টীকা দ্রষ্টব্য)