১. ফরজ গোসলের পূর্বে ইস্তিঞ্জা তথা পেশাব করে নেওয়া।
মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক- ১০২০
২. গোসলখানা নোংরা বা তার মধ্যে পায়খানা থাকলে বাম পা দিয়ে প্রবেশ করা।
বুখারী- ১৫৪
৩. শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া (যদি ভিতরে পায়খানা না থাকে)।
নাসায়ী- ৭৮
৪. উভয় হাত কব্জিসহ তিনবার ধৌত করা।
মুসলিম- ৭৪৬
৫. শরীরে বা কাপড়ের কোন স্থানে নাপাকী লেগে থাকলে গোসলের পূর্বে তা তিনবার ধুয়ে নেওয়া।
বুখারী- ২৪৯
৬. নাপাকী না লেগে থাকলেও পেশাব পায়খানার (লজ্জাস্থান) স্থান বাম হাত দিয়ে ধৌত করে তা ভালভাবে ধুয়ে নেওয়া ।
মুসলিম- ৭৪৮
৭. সুন্নাত তরিকায় নামাযের অযুর ন্যায় (পরিপূর্ন) অযু করা। যদি গোসলের স্থানে পানি জমে থাকে তাহলে গোসল শেষে অন্যত্র সরে গিয়ে পা ধুয়ে নিবে। অযুর মাঝে ও শেষে যে দুআ’ গুলো পড়া সুন্নাত এখানেও সেগুলো পড়বে। তবে গোসলখানা নোংরা হলে বা সাথে টয়লেট থাকলে গোসল শেষে বাইরে বের হয়ে পড়বে।
বুখারী- ২৪৮, ২৪৯
৮. প্রথমে হাতে পানি নিয়ে মাথার চুলের গোড়ায় ডলাডলি করে পানি পৌঁছাবে।
বুখারী ২৪৮, ২৫৬
৯. অতঃপর ডান কাঁধে পানি ঢালা।
বুখারী- ১৬৭
১০. এরপর বাম কাঁধে পানি ঢালা।
মুসনাদে আহমাদ- ২৫৫৪৫
১১. অতপর অবশিষ্ট শরীর ভিজানো।
বুখারী- ২৭৪
১২. সমস্ত শরীরে উত্তমরূপে তিনবার পানি পৌঁছান যাতে একটি পশমের গোড়াও শুষ্ক না থাকে।
আবূ দাউদ- ২৪৯; ইবনে মাজাহ- ৫৯৯
বিঃ দ্রঃ নদী-পুকুর, খাল-বিল ইত্যাদিতে গোসল করলে কিছুক্ষন ডুব দিয়ে থাকলেই পূরো শরীরে তিনবার পানি ঢালার সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে।
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-২৪৯
১৩. সমস্ত শরীর ভালভাবে ডলে ডলে ধৌত করা।
আবূ দাউদ- ২৪৯; মুসনাদে আহমাদ- ৭৯৪